Networking >> Lesson - 9
LAN Protocols
ল্যান (LAN) প্রোটোকল কাকে বলে ? কত প্রকার ও কী কী ?
নেটওয়ার্ক সিস্টেমে যে সমস্ত নিয়মকানুন মেনে কম্পিউটার গুলি নিজেদের মধ্যে তথ্যের আদান প্রদান করে সেই নিয়মকানুন কে প্রোটোকল বলে ।
একই ভাবে কোনো LAN সিস্টেমে যে প্রোটোকল মেনে তথ্যের আদান প্রদান হয় তাকে ঐ সিস্টেমের LAN প্রোটোকল বলে ।
সাধারণত ল্যানে 3 ধরনের প্রোটোকল ব্যবহৃত হয় –
1)ইথারনেট (Ethernet)
2)টোকেন রিং (Token Ring)
3)FDDI (Fiber Distributed Data Interface)

ইথারনেট (Ethernet) কাকে বলে ? ইথারনেটের সুবিধা ও আসুবিধা লেখ ।
বাস টোপোলজির ল্যান এর ক্ষেত্রে ইথারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় । বর্তমানে এই প্রোটোকলটি IEEE802 নামে পরিচিত । ইথারনেট CSMA/CD(Carrier Sense Multiple Access with Collision Detection) পদ্ধতিতে ডেটা আদান প্রদান করে ।

ইথারনেটের সুবিধা ঃ
১) স্থাপন করা সহজ।
২) বেশী অতিরিক্ত যন্ত্রাংশ ব্যাবহৃত না হওয়া রক্ষনাবেক্ষন সহজ ।
৩) খরচ তুলনামুলক কম ।
ইথারনেটের (Ethernet) আসুবিধা ঃ
1)ডেটা সংঘর্স হওয়া সম্ভাবনা খুব বেশী ।
2)সংঘর্স নির্ণয়ের জন্য অনেক ব্যান্ডউইথ নষ্ট হয় ।
টোকেন রিং (Token Ring) কাকে বলে ? টোকেন রিং এর সুবিধা ও আসুবিধা লেখ ।
টোকেন রিং হল এক প্রকারের লজিক্যাল রিং নেটওয়ার্ক । টোকেন রিং আর্কিটেকচারে রিং টোপোলজিতে ব্যাবহার করা হয় । এই পদ্ধতিতে টোকেন পাসিং পদ্ধতিতে ডেটা আদান প্রদান করা হয় । টোকেন পাসিং পদ্ধতিতে টোকেন নামে একটি বিশেষ সিগন্যাল ব্যাবহার করা হয়, যার মাধ্যমে ডেটা পঠান হয় ।

টোকেন রিং এর সুবিধা ঃ
1)ডেটা আদান প্রদানের সময় সংঘর্ষ হয় না ।
2)ব্যান্ডউইথ পুরো কাজে লাগে ।
3)নোডের সংখ্যা বাডলে ও দক্ষতা হ্রাস পায় না ।
টোকেন রিং এর অসুবিধা ঃ
1)ডেটা পরিবহনের হার কম ।
2)বড়ো নেটওয়ার্কে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় না ।
3)ত্রুটি নির্ধারণ বেশ কঠিন ।
CSMA/CD এর কার্যপদ্ধতি সংক্ষেপে আলোচনা কর ।
বাস নেটওয়ার্কে একটি মাত্র লাইন থাকে । এই লাইনের মাধ্যমে একাধিক কম্পিউটার একই সময়ে ডেটা সিগন্যাল পরিবহন করলে সিগন্যাল গুলি সংঘর্ষ বা (Overlapped) হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং ডেটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে ।
এই সংঘর্ষকে দূর করার জন্য ইথারনেটে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় ।
CSMA/CDএই পদ্ধতিতে কোনো কম্পিউটার ডেটা পাঠানোর আগে লাইনটি ফাঁকা আছে কিনা তা দেখে নেয় । এই কাজটি কে ক্যারিয়ার সেন্স বলে ।
লাইন ফাঁকা থাকলে কম্পিউটার গুলি ডেটা পরিবহন করে কিন্তু যদি সবাই একসাথে ডেটা পাঠান শুরু করে তখন সংঘর্ষ হতে পারে । তাই ডেটা পাঠানর পর কম্পিউটার কিছুক্ষন অপেক্ষা করে যে সংঘর্ষ হয়েছে কিনা । একে কলিশন ডিটেকশন বলে ।
সংঘর্ষ ঘটলে কম্পিউটার কিছুক্ষনের জন্য ডেটা পাঠান বন্ধ রাখে এবং লাইন ফাঁকা হলে পুনরায় ডেটা পাঠায় ।
FDDI এর কার্যপদ্ধতি সংক্ষেপে আলোচনা কর ।
দ্রুতগতির LAN তৈরি করার জন্য 1982 সালে ANSI এবং ভেন্ডররা FDDI(Fiber Distributed Data Interface) কাজ শুরু করেন এবং 1990 সা লে এটি তৈরি করেন । এটিকে ফিডি নামেও ডাকা হয় ।

এর মুল বৈশিষ্ট্য –
(i)এখানে মাধ্যম হিসাবে OFC (Optical Fiber Cable) ব্যবহার করা হয় ।
(ii)এটি হাব ছাড়া চলতে পারে ।
(iii)এখানে Ring Topology ব্যাবহার করা হয় কিন্তু প্রত্যেক স্টেশনে দুটি করে কেবলের সাথে যুক্ত । যার একটি মুখ্য এবং অন্যটি গৌণ । মুখ্য কেবল এক দিকে এবং গৌন কেবল তার উল্টোদিকে ডেটা প্রেরণ করে । আর্থাৎ একটি কেবল খারাপ হলে অন্য কেবল দিয়ে ডেটা আদান প্রদান করে ।
(iv)উচ্চ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যেমন-Electric Image, High Resolution Graphic/Video এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় ।
ইথারনেট (Ethernet) ও টোকেন রিং (Token Ring) এই মধ্যে পার্থক্য লেখ ।
ইথারনেট (Ethernet) | টোকেন রিং (Token Ring) |
এই প্রোটোকল সিস্টেমে ডেটা সংঘর্ষের সম্ভাবনা থাকে। | এই প্রোটোকল সিস্টেমে ডেটা সংঘর্ষের সম্ভাবনা থাকে নয়া। |
CSMA/CD পদ্ধতিতে ডেটা আদান প্রদান করে | টোকেন পাসিং পদ্ধতিতে ডেটা আদান প্রদান করা হয় । |
ডেটা আদান প্রদান গতি 10 Mbps থেকে 1000 Mbps পর্যন্ত হতে পারে । | ডেটা আদান প্রদান গতি 4Mbps থেকে 16 Mbps পর্যন্ত হতে পারে । |
