Networking >> Lesson - 8
Network Topology
নেটওয়ার্ক টোপোলজি কাকে বলে ? কত প্রকার ও কী কী ?
ল্যান (LAN) এর কম্পিউটার গুলি যে সুনির্দিষ্ট জ্যামিতিক আকারে বিন্যাস্ত থেকে তারের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে নিজে দের মধ্যে তথ্য আদান প্রদান করে তাকে নেটওয়ার্ক টোপোলজি বলে ।
তাকে নেটওয়ার্ক টোপোলজি কে সধারণত ৫ ভাগে ভাগ করা যায় –
1)বাস টোপোলজি (Bus Topology)
2)রিং টোপোলজি (Ring Topology)
3)স্টার টোপোলজি (Stat Topology)
4)মেস টোপোলজি (Mesh Topology)
5)ট্রি টোপোলজি (Tree Topology)
বাস টোপোলজি (Bus Topology) কাকে বলে ? এর সুবিধা ও অসুবিধা লেখ ।
বাস টোপোলজিতে একটি লম্বা তার থাকে যাকে ব্যাকবোন (Backbone Cable) কেবল বা ট্রাঙ্ক (Trunk)বলে, এই তারের সাথে নেটওয়ার্ক এর সমস্ত কম্পিউটার যুক্ত থাকে । এই তারের দৈর্ঘ ১৮০ থেকে ২০০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে ।

বাস টোপোলজি (Bus Topology) কাকে বলে ? এর সুবিধা ও অসুবিধা লেখ ।
বাস টোপোলজির (Bus Topology) সুবিধা ঃ 1)এই ধরনের নেটওয়ার্ক স্থাপনের খরচ কম । 2)নেটওয়ার্ক থেকে কোনো কম্পিউটার যুক্ত বা মুক্ত করা সহজ । 3)নেটওয়ার্ককে সহজে বড়ো বা ছোট করা যায় । 4)ডেটা আদান প্রদান গতি বেশি । |
বাস টোপোলজির (Bus Topology) অসুবিধা ঃ 1)ট্রাঙ্ক বা ব্যাকবোন কেবল খারাপ হলে সম্পুর্ণ নেটওয়ার্ক খারাপ হয় । 2)ডেটা প্রেরণের জন্য কম্পিউটার কে অপেক্ষা করতে হয় । 3)ত্রুটি নির্ধারণ বা স্ংশোধোন বেস কঠিন । 4)নেটওয়ার্ককে বাড়ানো জন্য রিপিটারের প্রয়োজন । |
রিং টোপোলজি (Ring Topology) কাকে বলে ? এর সুবিধা ও অসুবিধা লেখ ।
রিং টোপোলজিতে কম্পিউটার গুলি পরস্পর বৃত্তাকরে যুক্ত থাকে । তাই একে রিং টোপোলজি বলে । এই টোপোলজিতে কোনো মুক্ত প্রান্ত থাকে না । রিং টোপোলজে বৃত্তাকার, উপবৃত্তাকার, আয়তকার ইত্যাদি হতে পারে । |
এই টোপোলজিতে দু-রকম পদ্ধতিতে তথ্য প্রেরিত হয় – 1)একমুখি ঃ এই পদ্ধতিতে তথ্য সব সময় ঘড়ির কাটার ঘূর্ণন অভিমুখে প্রেরিত হ্য় । 2)উভমুখী ঃ এই পদ্ধতিতে তথ্য উভয় দিকে প্রেরিত হ্য় । |

রিং টোপোলজি (Ring Topology) এর সুবিধা ও অসুবিধা লেখ ।
রিং টোপোলজির (Ring Topology) সুবিধা ঃ 1)এই টোপোলজিতে তার কম লাগে তাই স্থাপনের খরচ কম । 2)ডেটা আদান প্রদান গতি বেশি । 3)নেটওয়ার্ককে বাড়ানো জন্য রিপিটারের প্রয়োজন হয় না । 4)ত্রুটি নির্ধারণ বা স্ংশোধোন তুলনামুলক সহজ । |
রিং টোপোলজির (Ring Topology) অসুবিধা ঃ 1)এই টোপোলজিতে একটি কম্পিউটার খারাপ হলে সম্পুর্ণ নেটওয়ার্ক খারাপ হয় । 2)নেটওয়ার্ক থেকে কোনো কম্পিউটার যুক্ত বা মুক্ত করা কঠিন । 3)নেটওয়ার্ককে বাড়ানো জন্য জটিল হার্ডওয়ারের প্রয়োজন । |
স্টার টোপোলজি (Star Topology) কাকে বলে ? এর সুবিধা ও অসুবিধা লেখ ।
স্টার টোপোলজিতে একটি কেন্দ্রীয় কম্পিউটার বা হাব (Hub) থাকে, এই হাবের সাথে নেটওয়ার্ক এর সমস্ত কম্পিউটার যুক্ত থাকে । তথ্য প্রথমে কম্পিউটার থেকে হাবে আসে হাব সেটিকে গন্তব্য কম্পিউটারে পাঠিয়ে দেয় ।

স্টার টোপোলজি (Star Topology) এর সুবিধা ও অসুবিধা লেখ ।
স্টার টোপোলজির (Star Topology) সুবিধা ঃ
1)এই ধরনের নেটওয়ার্কের ত্রুটি নির্ধারণ এবং সংশোধন সহজ ।
2)নেটওয়ার্ক থেকে কোনো কম্পিউটার যুক্ত বা মুক্ত করা সহজ ।
3)নেটওয়ার্ককে সহজে বড়ো বা ছোট করা যায় ।
4)ডেটা আদান প্রদান গতি বেশি ।
বাস টোপোলজির (Bus Topology) অসুবিধা ঃ
1)হাব খারাপ হলে সম্পুর্ণ নেটওয়ার্ক খারাপ হয় ।
2)নেটওয়ার্ক স্থাপনে খরচ তুলনামুলক বেশী ।
3)হাবে বেশী কম্পিউটার যুক্ত হলে তথ্যের আদান প্রদান গতি কমে যায় ।
মেস টোপোলজি (Mesh Topology) কাকে বলে ? ।
মেস টোপোলজিতে প্রতিটি নোড পৃথক ভাবে সবগুলি নোডের সাথে কেবলের মাধ্যমে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট সংযোগে যুক্ত থাকে ।
মেস টোপোলজিতে নোড সংখ্যা n হলে চ্যানেল বা তারের সংখ্যা হবে n(n-1)/2
প্রতিটি নোডের ইনপুট ও অউটপুট পোর্ট সংখ্যা হবে (n-1) ।

মেস টোপোলজি (Mesh Topology) এর সুবিধা ও অসুবিধা লেখ ।
মেস টোপোলজির (Mesh Topology) সুবিধা ঃ
1)এই ধরনের নেটওয়ার্কে একটি নোড খারাপ হলে সম্পুর্ণ নেটওয়ার্ক খারাপ হয় না ।
2)নেটওয়ার্ক থেকে কোনো কম্পিউটার যুক্ত বা মুক্ত করা সহজ ।
3)নেটওয়ার্ককে তথ্যের নিরাপত্তা আনেক বেশী ।
4)ডেটা আদান প্রদান গতি বেশি ।
মেস টোপোলজির (Mesh Topology) অসুবিধা ঃ
1)নেটওয়ার্ক স্থাপনে খরচ অনেক বেশী ।
2)নেটওয়ার্কের পুনবিন্যাস বেস জটিল ।
3)নুতন নোড যুক্ত করা বেশ কঠিন ।
ট্রি টোপোলজি (Tree Topology) কাকে বলে ? এর সুবিধা ও অসুবিধা লেখ ।
ট্রি টোপোলজি Star ও Bus টোপোলজির মিলিত রুপ । এখানে একাধিক স্টার নেটওয়ার্ক , বাস নেটওয়ার্ক এর সথে যুক্ত হয়ে বৃক্ষের ন্যায় দেখতে হ্য় তাই একে ট্রি টোপোলজি বলে ।

ট্রি টোপোলজি (Tree Topology) এর সুবিধা ও অসুবিধা লেখ ।
ট্রি টোপোলজির (Tree Topology) সুবিধা ঃ
1)এই ধরনের নেটওয়ার্কে একটি Segment খারাপ হলে সম্পুর্ণ নেটওয়ার্ক খারাপ হয় না ।
2)নেটওয়ার্ক থেকে কোনো কম্পিউটার যুক্ত বা মুক্ত করা সহজ ।
3)নেটওয়ার্ককে তথ্যের নিরাপত্তা আনেক বেশী ।
4)ত্রুটি ধরা ও স্ংশোধন করা সহজ ।
ট্রি টোপোলজির (Tree Topology) অসুবিধা ঃ
1)নেটওয়ার্ক স্থাপনে খরচ অনেক বেশী ।
2)নেটওয়ার্কের পুনবিন্যাস বেস জটিল ।
3)নুতন নোড যুক্ত করা বেশ কঠিন ।
