Networking >> Lesson - 7
Data Communication Media
কমিউনিকেশন মাধ্যম বলতে কী বোঝ ? এর শ্রেণিবিভাগ উল্লেখ কর
কমিউনিকেশন বা পরিবহন মাধ্যমকে বলা হয় যোগাযোগ মাধ্যম যা প্রেরক ও গ্রাহকের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে এবং তথ্য আদান প্রদান করে ।
এই মাধ্যম কে দুইভাগে ভাগ করা হয় যথা- ১) নিয়ন্ত্রিত মাধ্যম বা গাইডেড মিডিয়া (Guided Media) ২) অনিয়ন্ত্রিত মাধ্যম বা আনগাইডেড মিডিয়া (Unguided Media)

নিয়ন্ত্রিত মাধ্যম বা গাইডেড মিডিয়া (Guided Media) কী ? এর শ্রেণিবিভাগ উল্লেখ কর
নেটওয়ার্কের এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে তথ্য পরিবহণ করার জন্য তারযুক্ত মাধ্যম কে বলা হয় গাইডেড মিডিয়া । তথ্য এই পরিবাহির মধ্য দিয়ে তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ আকারে পরিবাহিত হয় ।
গাইডেড মিডিয়াকে প্রধাণত তিন ভাগে ভাগ করা যায় – ১) টুইস্টেড পেয়ার কেবল (Twisted Pair Cable) ২) কো-অ্যাক্সিয়াল কেবল ৩) অপটিক্যাল ফাইবার কেবল ।
অনিয়ন্ত্রিত মাধ্যম বা গাইডেড মিডিয়া (Unguided Media) কী ? এর শ্রেণিবিভাগ উল্লেখ কর
নেটওয়ার্কের এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে তথ্য পরিবহণ করার জন্য তারবিহীন মাধ্যম কে বলা হয় আনগাইডেড মিডিয়া । তথ্য এই পরিবাহির মধ্য দিয়ে তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ (Electromagnetic Wave) আকারে পরিবাহিত হয় ।
এই মাধ্যম কে চারভাগে ভাগ করা হয় যথা- ১)ইনফ্রারেড তরঙ্গ (Infrared) ২) রেডিও তরঙ্গ (Radio Wave) ৩) মাইক্রোওয়েভ (Microwave) ৪)স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থা (Satellite Communication System)
টুইস্টেড পেয়ার কেবল (Twisted Pair Cable) কী এবং এর শ্রেণিবিভাগ
এই কেবলে দুটি অন্তরিত তামার তার সুষমভাবে প্যাঁচান অবস্থায় থাকে । এই রকম একাধিক জোড়া একত্রিত করে একটি শিল্ডে বা আচ্ছাদনের মধ্যে থাকে । এই কেবল অ্যানালগ ও ডিজিট্যাল উভয় প্রকারের সিগন্যাল পরিবহন করতে পারে ।
টুইস্টেড পেয়ার কেবল দুই ধরনের হয় – ১) শিল্ডেড টুইস্টেড পেয়ার (STP) এবং ২) আনশিল্ডেড টুইস্টেড পেয়ার (UTP) ।
শিল্ডেড টুইস্টেড পেয়ার (STP)

এই ধরনের তারের উপর একটি বিশেষ আচ্ছাদন থাকে । এই আচ্ছাদন বাইরের তড়িতচুম্বকীয় প্রভব প্রতিহত করে ।
আনশিল্ডেড টুইস্টেড পেয়ার (UTP)

এই ধরনের তারের উপর একটি বিশেষ আচ্ছাদন থাকে না । টেলিকমিউনিকেশন মাধ্যম হিসাবে এই ধরনের তার বেশি ব্যবহৃত হয় । এই তার দামে সস্তা হয় ।
কো-অ্যাক্সিয়াল কেবল (Co-Axial Cable)
এই কেবলের মধ্যে দিয়ে 100KHz থেকে 500MHz উচ্চ কম্পাঙ্কের সিগ্যান্যাল পরিবহণ করতে পারে । এই কেবলের কেন্দ্রস্থলে একটি তামার তার থাকে, তারটির ওপর একটি অন্তরক পদার্থের আস্তরন থাকে এর ওপর তামার বা অ্যালুমিনিয়ামের তারজালি থাকে যা একটি অন্তরক পদার্থ দ্বারা আবৃত । পুরো জিনিসটি একটি প্লাস্টিকের আবরণের মধ্যে সুরক্ষিত থাকে । কেন্দ্রের তারের মধ্যদিয়ে তথ্য পরিবাহিত হয় ।

কো-অ্যাক্সিয়াল কেবল (Co-Axial Cable) এর সুবিধা
- এই তার অ্যানালগ ও ডিজিট্যাল উভয় প্রকারের সিগন্যাল পরিবহন করতে পারে ।
- ডেটা আদান প্রদান গতি বেশি ।
- মেট্রপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক এ এই তার ব্যাবহৃত হয় ।
কো-অ্যাক্সিয়াল কেবল (Co-Axial Cable) এর আসুবিধা
- এই কেবল নমনীয়তা কম ।
- বেশি দূরত্বে তথ্য পরিবহনের জন্য রিপিটারের প্রয়োজন ।
অপটিক্যাল ফাইবার কেবল (Optical Fibre Cable)
এই ধরনের কেবলে ফাইবার বা প্লাস্টিকের সরু তন্তু যাকে কোর বলে যা পরিবাহি হিসাবে কাজ করে । এই তন্তুর উপর প্লাস্টিকের একটি আবরন থাকে যা কে ক্লাডিং বলে । ক্লাডিংএর উপর আর একটি বাফার নামক স্তর থাকে য ক্লাডিং কে রক্ষা করে আবার এই বাফার এর ওপর প্লাস্টিক জাতিয় জ্যাকেট দ্বারা আবৃত থাকে ।
তথ্য কোরের মধ্য দিয়ে আলোক তরঙ্গ আকারে প্রবাহিত হয় । এই ধরণের কেবলে তথ্য পরিবহনের হার 100Mbps থেকে 2Gbps পার্যন্ত হয় ।

অপটিক্যাল ফাইবার কেবল (Optical Fibre Cable) প্রকারভেদ
দুই ধরনের OFC পাওয়া যায় – সিঙ্গের মোড ফাইবার এবং মাল্টি মোড ফাইবার
সিঙ্গেল মোড ফাইবারের ব্যাস খুবই কম 5-7 মাইক্রনের মত।এখানে আলোক রশ্মি সরল রেখায় বিস্তার লাভ করে ।
মাল্টি মোড ফাইবারের ব্যাস প্রায় 62.5 মাইক্রন । ফলে একসাথে একাধিক তরঙ্গ বিভিন্ন পথে বিস্তার লাভ করে । সাধারণত কম দূরত্বে পরিবহনের জন্য এই ধরনের কেবল ব্যবহৃত হয় ।

অপটিক্যাল ফাইবার কেবল (Optical Fibre Cable) এর সুবিধা
- তথ্য কোরের মধ্য দিয়ে আলোক তরঙ্গ আকারে প্রবাহিত হয় তাই এই সংকেত তাডিৎচুম্বকীয় ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় না ।
- অ্যামপ্লিফায়ার ছাড়াই অনেক দূর পর্যন্ত সংকেত পরিবহণ
- ডেটা পরিবহনের হার খুব বেশি
- কেবলের স্থায়িত্ব কাল বেশি ।
অপটিক্যাল ফাইবার কেবল (Optical Fibre Cable) এর অসুবিধা
- এই তারের দাম বেশি ।
- স্থাপন বেশ অসুবিধা জনক ।
- বেশি বাঁকালে ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।
বেতার / রেডিও ওয়েব (Redio Wave)
রেডিও ওয়েবের কম্পাঙ্ক সাধারণত 3Khz থেকে 300Mhz পর্যন্ত হতে পারে । এই তরঙ্গ আলোর গতিতে সর্বদিকে প্রেরিত হয় । এই তরঙ্গ রেডিও ট্রান্সমিটার দ্বারা প্রেরিত হয় এবং অ্যান্টিনা দ্বারা গ্রাহক মেশিনে গৃহিত হয় । এই তরঙ্গ আবহাওয়া বা বাতাসের জন্য অনেক সময় বাধাপ্রাপ্ত হয় । তবে এই সিস্টেমে তথ্য আদানপ্রদানের হার তুলনামুলক কম ।

মাইক্রোওয়েভ (Microwave)
মাইক্রোওয়েবের তরঙ্গ 300Mhz থেকে 300Ghz পর্যন্ত হতে পারে । এই পদ্ধতিতে তথ্য আদান প্রদানের জন্য Ultra High Frequency(UHF) ব্যান্ডের তরঙ্গ ব্যবহার করে । মাইক্রোওয়েব সর্বদা একমুখী হয় । এই তরঙ্গ দেয়াল বা পাহাড়ে বাধা প্রাপ্ত হয় তাই তরঙ্গ পরিবহনের জন্য উঁচু রিপিটার টাওয়ার ব্যবহার করা হয় । সাধারণত টেলিভিশন নেটওয়ার্ক, টেলিফোন নেটওয়ার্ক ইত্যাদি ক্ষেত্রে মাইক্রোওয়েব ব্যবহৃত হয় ।

ইনফ্রারেড তরঙ্গ (Infrared Wave)
এই তরঙ্গের কম্পাঙ্ক 300Ghz(Giga Hertz) পর্যন্ত হয়।এই ধরনের তরঙ্গের ক্ষেত্রে সিগন্যাল আদান প্রদান করার জন্য LED(Light Emitting Diode) বা ILD(Injection Laser Diode) ব্যবহৃত হয় । এই তরঙ্গ ব্যবহার করে কম দুরত্বে তথ্য আদান প্রদান করা হয়।
টিভি, ভি সি আর, রিমোট ইত্যাদিতে এই সিগ্যানল ব্যবহার করা হয়

স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ (Satellite)
এটি এমন একটি বস্তু যা ভুপৃষ্ট থেকে 2500 মাইল উচুতে নিরক্ষরেখা বরাবর পৃথিবীর নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপন করা হয় এবং পৃথিবীর চারদিকে নির্দিষ্ট গতিতে গুরতে থাকে। স্যাটেলাইটে অবস্থিত ট্রান্সপন্ডার নামক যন্ত্রের মাধ্যমে ভুপৃষ্টে রাখা কোন ট্রাসমিটার এর সাথে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করে ।

দু-রকম পদ্ধতিতে স্যাটেলাইট তথ্য আদান প্রদান করে – |
আপলিঙ্ক (Uplink) : ভুপৃষ্টে স্থাপিত কোনো স্টেশন থেকে ট্রাসমিটারের মাধ্যমে তথ্য বা সংকেত স্যাটেলাইটে পাঠানকে বলে আপলিঙ্ক । ডাউনলিঙ্ক (Downlink) : ভুপৃষ্ট থেকে আগত তথ্য সেন্সরের মাধ্যমে গ্রহন করে ট্রাসপন্ডারের মাধ্যমে সেই সংকেত বিবর্ধিত করে ভুপৃষ্টের কোন স্টেশনে পাঠানকে বলে ডউনলিংক । |

Sir glass ar maddoma curant provaito hoi?
Glass এর মধ্যে কারেন্ট প্রবাহিত হয় না