Networking >> Lesson - 5
Data Transmission (তথ্যের পরিবহন )
তথ্যের পরিবহন (Data Transmission) কাকে বলে ?
নেটওয়ার্ক সিস্টেমে কেবল বা তারের মাধ্যমে একাধিক ডিভাইস বা যন্ত্রংশের মধ্যে তথ্যের আদান প্রদান কে বলে তথ্যের পরিবহন Data Transmission
সাধারনত তথ্যের পরিবহন কে দুই পদ্ধতিতে ভাগ করা হয়, যথা –
১)ধারাবাহিক পরিবহন এবং ২) সমান্তরাল পরিবহন

ধারাবাহিক পরিবহন ( Serial Transmission) কাকে কে বলে ?
যেতথ্য পরিবহন পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট ডেটা বা তথ্যের সমস্ত বিট কে একই সময়ে একটি মাত্র তারের মাধ্যমে প্রেরক থেকে গ্রাহকের কাছে পাঠানো হয় তাকে ধারাবাহিক পরিবহন Serial Transmission বলে ।

ধারাবাহিক পরিবহনের সুবিধা (Advantage) :-
ধারাবাহিক পরিবহনের সুবিধা হল :
- দীর্ঘ দূরত্বে তথ্য আদান প্রদানের জন্য ব্যাবহৃত হয় ।
- একটি মাত্র তার ব্যবহৃত হওয়ায় খরচ অনেক কম ।
- ক্লক স্কুউ (Clock Skew) সমস্যা হয় না ।
- সংকেত অখন্ডতা ( Signal Integrity) বজায় থাকে ।
ধারাবাহিক পরিবহনের অসুবিধা (Disadvantage) :-
ধারাবাহিক পরিবহনের অসুবিধা হল :
- তথ্য আদান প্রদানের জন্য কনভার্টার ব্যাবহৃত হয় ।
- তথ্যের আদান প্রদানের গতি কম ।
- তথ্যের ভিড় (Data Congestion) এর সম্বাবনা বেশি
সমান্তরাল পরিবহন (Parallel Transmission) কাকে কে বলে ?
যে তথ্য পরিবহন পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট ডেটা বা তথ্যের সমস্ত বিট কে একই সময়ে এক সঙেগ পৃথক পৃথক তারের মাধ্যমে প্রেরক থেকে গ্রাহকের কাছে পাঠানো হয় তাকে সমান্তরাল পরিবহন (Parallel Transmission) বলে ।

সমান্তরাল পরিবহনের সুবিধা (Advantage) :-
সমান্তরাল পরিবহনের সুবিধা হল :
- নিকট দূরত্বে তথ্য আদান প্রদানের জন্য ব্যাবহৃত হয় ।
- তথ্যের আদান প্রদানের গতি বেশি ।
- তথ্যের ভিড় (Data Congestion) এর সম্বাবনা কম ।
- তথ্য আদান প্রদানের জন্য কনভার্টার ব্যাবহৃত হয় না ।
সমান্তরাল পরিবহনের অসুবিধা (Disadvantage) :-
সমান্তরাল পরিবহনের অসুবিধা হল :
- অধিক দূরত্বে তথ্য আদান প্রদানের জন্য ব্যাবহৃত হয় না।
- তারের সংখ্য বেশি হওয়ায় খরচ অনেক বেশি ।
- ক্লক স্কুউ (Clock Skew) সমস্যা হয় ।
ধারাবাহিক পরিবহন ( Serial Transmission) কত রকমের হয় ?
অসমলয় (Asynchronous) পরিবহন কাকে বলে ?
এটি এক প্রকার ধারাবাহিক পরিবহন পদ্ধতি । এতে একই সময় একটি করে ক্যারেক্টর পরিবাহিত হয় । প্রতেটি ক্যারেক্টর আগে ও পরে একটি করে Start Bit ও Stop Bit থাকে ।

সমলয় (Synchronous) পরিবহন কাকে বলে ?
এটি এক প্রকার ধারাবাহিক পরিবহন পদ্ধতি । এতে অনেকগুলো ক্যারেক্টর একত্রে একটি ব্লক বা গ্রুপ হিসাবে পরিবাহিত হয় ।

ধারাবাহিক পরিবহন এবং সমান্তরাল পরিবহন এর মধ্যে পার্থক্য লেখ
ধারাবাহিক পরিবহন | সমান্তরাল পরিবহন |
এই পরিবহন পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট ডেটাকে একটি মাত্র তারের মাধ্যমে প্রেরক থেকে গ্রাহকের কাছে পাঠানো হয় | এই পদ্ধতিতে সব তথ্য এক সঙেগ পৃথক পৃথক তারের মাধ্যমে প্রেরক থেকে গ্রাহকের কাছে পাঠানো হয় |
তথ্যগুলি একটির পর একটি করে প্রেরিত হয় । | তথ্যগুলি একাধিক বিটের এক একটি গ্রুপ করে প্রেরিত হয় । |
এরুপ পরিবহনের খরচ কম । | এরুপ পরিবহনের খরচ বেশি । |
পরিবহনের গতি কম । | পরিবহনের গতি বেশী । |
তথ্য আদান প্রদানের জন্য কনভার্টার ব্যাবহৃত হয় । | তথ্য আদান প্রদানের জন্য কনভার্টার ব্যাবহৃত হয় না । |
অসমলয় পরিবহন এবং সমলয় পরিবহন এর মধ্যে পার্থক্য লেখ
অসমলয় পরিবহন | সমলয় পরিবহন |
প্রতিটি অক্ষর আলাদা আলাদা ভাবে প্রেরিত হয় | একাধিক অক্ষরের ব্লক আকারে প্রেরিত হয় |
এই পদ্ধতিতে Start এবং Stop Bit থাকে | এই পদ্ধতিতে Start এবং Stop Bit থাকে না |
এই পরিবহন পদ্ধতির গতি কম | এই পরিবহন পদ্ধতির গতি বেশি |
একটি ক্যারেক্টার নষ্ট হলে সমগ্র সিস্টেমের ছন্দপতন হয় । | সম্পুর্ণ ব্লক নষ্ট হলে সমগ্র সিস্টেমের ছন্দপতন হয় । |
