Networking >> Lesson - 4
নেটওয়ার্ক গঠন (Network Architecture) কাকে বলে ?
যে পদ্ধতিতে নেটওয়ার্ক সিস্টেমে যুক্ত কম্পিউটার গুলি পরস্পরের মধ্যে তথ্য বিনিময় করে তাকে নেটওয়ার্কের গঠন বা Network Architecture বলে ।
নেটওয়ার্কের গঠন সাধারণত দুই প্রকার –
ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্ক (Client Server) কাকে বলে ?
যে নেটওয়ার্ক সিস্টেমে এক বা একাধিক শক্তিশালি কম্পিউটারের সাথে অন্যান্য সমস্ত কম্পিউটারগুলি যুক্ত থাকে তাকে ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওযার্ক বলে ।
এখানে শক্তিশালী কম্পিউটারগুলি কে সার্ভার এবং এদের সাথে যুক্ত প্রান্তীক কম্পিউটার বা নোড গুলিকে ক্লায়েন্ট বলে ।
ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওযার্ক সিস্টেমে বিভিন্ন ধরনের সার্ভার যেমন-File Server, Printer Server, Dedicated Server, Web Server, Mail Server, Application Server ইত্যাদি ।
এটি বিভিন্ন ধরনের আর্কিটেকচার হয় যেমন – টু টায়ার আর্কিটেকচার, থ্রী টায়ার আর্কিটেকচার ইত্যাদি ।
ক্লায়েন্ট - সার্ভার নেটওয়ার্ক এর সুবিধা লেখ ।
- ডেটা, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ভাগাভাগী করে ব্যবহার করা যায় ।
- নেটওয়ার্কের কোনো কাজ সার্ভারের অনুমতি ছাড়া করা সম্ভব নয়, এর ফলে মুল্যবান তথ্য এবং সফটওয়্যার সুরক্ষিত থাকে ।
- নেটওয়ার্ক অনেকদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে ফলে অনেক ব্যবহারকারি একসাথে কাজ করতে পারে ।
- এই নেটওয়ার্কের সার্ভার শক্তিশালী তাই ক্লায়েন্ট কম্পিউটারগুলি মাঝারি মানের হলেও চলে ।
- সার্ভারে ডেটা ব্যাকাপের বিশেষ ব্যাবস্থা আছে ।
ক্লায়েন্ট - সার্ভার নেটওয়ার্ক এর অসুবিধা লেখ ।
- এই নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা বেশ জটিল এবং স্থাপন করা বেশ কঠিন।
- এই নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রন সার্ভারের কছে তাই সার্ভার খারাপ হলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক খারাপ হয়ে যায় ।
- সার্ভার কে নিয়ন্ত্রন করার জন্য সব সময় একজন দক্ষ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর প্রয়োজন ।
- এই নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য বিশেষ অপরেটিং সিস্টেম যেমন – Linux, Novell NetWare, Windows NT ইত্যাদি নেটওয়ার্ক অপরেটিং সিস্টেমের প্রয়োজন ।
পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক (Peer-to-Peer Network) কাকে বলে ?
যে নেটওয়ার্ক সিস্টেমে সমস্ত কম্পিউটারগুলি একে অন্যের ক্লায়েন্ট ও সার্ভার হিসাবে কাজ করে তাকে পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক বলে ।
এই নেটওয়ার্কে কোনো সার্ভার থাকে না তাই প্রত্যেকে প্রত্যেকের মধ্যে সহজে তথ্য আদান প্রদান করতে পারে ।
পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কের উদাহরন হল -Napster, Kazaa, Bit Torrent ইত্যাদি ।
পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কের সুবিধা লেখ
- এই নেটওয়ার্কের গঠন খূবই সরল এবং সরল এবং স্থাপন করা সহজ ।
- এই নেটওয়ার্কের কম্পিউটারগুলি অন্য কোনো কম্পিউটারের উপর নির্ভরশীল নয় ।
- এই নেটওয়ার্কের বিশেষ কোনো অপরেটিং সিস্টেমের প্রয়োজন নেই ।
- কোনো সিস্টেম Administrator এর প্রয়োজন নেই ।
পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কের অসুবিধা লেখ
- এই নেটওয়ার্কে ব্যবহারকারীর সংখ্যা খুবই কম ।
- কেন্দ্রীয় কম্পিউটার বা সার্ভার না থাকায় তথ্যের নিরাপত্তা কম ।
- ডেটার ব্যাকাপের ব্যবস্থা থাকে না ।
- এই নেটওয়ার্কে সাধারনত ১০ টির বেশি কম্পিউটার থাকে না ।
ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্ক ও পিয়ার-টু-টিয়ার নেটওয়ার্কের মধ্যে পার্থক্য লেখ
ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্ক | পিয়ার-টু-টিয়ার নেটওয়ার্ক |
এই সিস্টেমে এক বা একাধিক শক্তিশালী সার্ভার এবং অন্য সমস্ত ক্লায়েন্ট হিসাবে কাজ করে । | এই সিস্টেমে সব কম্পিউটারগুলি ক্লায়েন্ট ও সার্ভআর হিসাবে কাজ করে । |
এই নেটওয়ার্কের গঠন বেশ জটিল । | এই নেটওয়ার্কের গঠন সরল । |
এই নেটওয়ার্ক স্থাপনের খরচ বেশী । | এই নেটওয়ার্ক স্থাপনের খরচ কম । |
এই নেটওয়ার্কের তথ্য সুরক্ষিত থাকে । | এই নেটওয়ার্কের তথ্য অসুরক্ষিত । |
এই নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য দক্ষ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের প্রয়োজন । | এই নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য দক্ষ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের প্রয়োজন নয়। |
