MyNetEdu Page Banner

Networking >> Lesson – 11


প্রথমে লেসনটি পড়বে


Go to Lesson – 11 MCQ Test

OSI Model

ওপেন সিস্টেম ইনটারকানেকশন (OSI) মডেল হল ISO(International Standard Organisation) সংস্থা দ্বারা স্বীকৃত সর্বগ্রাহ্য একটি নেটওয়ার্ক মডেল ।
OSI মডেলের স্তরসমুহ এবং তাদের কর্যাবলি –
অ্যাপ্লিকেশন লেয়ার(7): নেটওয়ার্ক সম্পদ অ্যাকসেস করতে পারে, ইমেল তথ্য আদান প্রদান করতে পারে । HTTP, FTPইত্যাদি প্রোটোকলগুলি এই লেয়ারে কাজ করে ।
প্রেজেন্টেশন লেয়ার(6): ডেটা পরিবর্তন ও সংক্ষিপ্তকরণ করে । এনক্রিপশন ও ডিক্রিপশন করে ।
সেশন লেয়ার(5): গ্রাহক ও প্রেরকের মধ্যে সেশন স্থাপন করে, পরিচালনা করে এবং টার্মিনেট করে ।
ট্রান্সপোর্ট লেয়ার(4): ডেটাকে ছোটো ছোটো এককে বিভাজন করে এবং ত্রুটি নিয়ন্ত্রন করে এবং গ্রাহক ও প্রেরকের মধ্যে End to End সংযোগ স্থাপন করে ।
নেটওয়ার্ক লেয়ার(3): ডেটা ফ্রেমগুলি ছোটো ছোটো প্যাকেটে বিভাজন করে এবং প্যাকেটগুলির ত্রুটি সংশোধন করে  । গ্রাহক ও প্রেরকের মধ্যে যৌক্তিক পথ তৈরি করে ।
ডেটা লিঙ্ক লেয়ার(2): ডেটা ফ্রেম গঠন করে, ফ্রেমগুলির ত্রুটি নির্ধারণ ও সংশোধন করে এবং নোড টু নোড ডেটা পরিবহন করে ।
ফিজিক্যাল লেয়ার(1): ডেটা বিটগুলিকে নেটওয়ার্ক মাধ্যমে পরিবহন করে, ডেটা পরিবহনের হার নিয়ন্ত্রন করে,  ডেটা পরিবহন মাধ্যম নির্বাচন করে এবং ডেটা ট্রাসমিশন পদ্ধতি নির্ধারণ করে ।
All People Seems To Need Data Process (সব স্তরের নাম সহজে মনে রাখার একটি উপায় Bold অক্ষরগুলি স্তরগুলির প্রথম লেটার)

TCP/IP প্রোটোকল সুইটের সংক্ষিপ্ত বিবরন দাও ।

TCP/IP এর পাঁচটি স্তর রয়েছে । এই স্তর গুলি হল

1)ফিজিক্যাল লেয়ার (Physical Layer)

2)ডেটা লিঙ্ক লেয়ার (Data link Layer)

3)নেটওয়ার্ক লেয়ার (Network Layer)

4)ট্রান্সপোর্ট লেয়ার (Transport Layer)

5)অ্যাপ্লিকেশন লেয়ার (Application Layer)

TCP/IP Model

ফিজিক্যাল লেয়ার (Physical Layer)

ফিজিক্যাল লেয়ার (Physical Layer) :  TCP/IP মডেলের সর্বনিন্ম স্তর হল ফিজিক্যাল লেয়ার । এই স্তরের Protocol গুলির প্রধান কাজ হল Network এ ডেটা প্রেরন করা । এই স্তর সঠিক ডিভাইসের কাছে ডেটা পাঠানর দায়িত্ব গ্রহন করে ।এই স্তরে ফ্রমের তথ্যের এনকোডিং এবং ডিকোডিং  করা হয় । সাধারণত Ethernet, Token Ring, FDDI ইত্যাদি প্রোটোকল এই লেয়ারে কাজ করে ।

ডেটা লিঙ্ক লেয়ার (Data link Layer)

ডেটা লিঙ্ক লেয়ার (Data link Layer) : TCP/IP মডেলের দ্বিতীয় স্তর হল ডেটা লিঙ্ক লেয়ার ।  এই স্তর ডেটাগুলিকে প্যাকেট বা ফ্রেমে বিভক্ত করে ত্রুটি নিয়ন্ত্রন করে । এই স্তরের প্রোটোকল হল PPP যার সাহায্যে দুটি কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য সরাসরি আদানপ্রদান করতে পারে । এই প্রোটোকলে কোনোরকম হোস্ট ছাড়াই দুটি রাউটারের মধ্যে সরাসরি সংযোগ হয় ।

নেটওয়ার্ক লেয়ার (Network Layer) / ইন্টারনেট (Internet Layer)

নেটওয়ার্ক লেয়ার (Network Layer) / ইন্টারনেট (Internet Layer) : TCP/IP মডেলের তৃতীয় স্তর হল ডেটা লিঙ্ক লেয়ার । এই স্তরে ডেটা প্যকেটগুলি গ্রহন করে এবং Network এ পাঠানর ব্যবস্থা করে ।  এই স্তরে IP Address ব্যবহার করে ডেটা নির্দিষ্ট গন্তব্যে পাঠায় ।

এই স্তরের বিভিন্ন প্রোটোকলগুলি হল

IP- Internet Protocol.

ARP- Address Resolution Protocol.

RARP – Reverse Address Resolution Protocol.

ICMP – Internet Control Message Protocol.

IGMP – Internet Group Message Protocol .

IP(Internet Protocol) : TCP/IP মডেলের প্রধান পোটোকল হল IP।  প্রত্যেক ডেটা প্যকেটের IP অ্যড্রেস ব্যবহার করে Source Host থেকে  Destination Host এ ডেটা পাঠান হয় ।

ARP(Address Resolution Protocol): এই প্রোটোকল ডেটা লিঙ্ক লেয়ার এবং ইন্টারনেট লেয়ার মধ্যে কাজ করে । এর প্রধান কাজ হল নেটওয়ার্কের লজিক্যাল অ্যড্রেস(IP Address) থেকে ফিজিক্যাল অ্যড্রেস (MAC Address) খুজে বের করা ।

RARP (Reverse Address Resolution Protocol): এই প্রোটোকল ARP এর বিপরীত  কাজ করে অর্থাৎ নেটওয়ার্কের ফিজিক্যাল অ্যড্রেস (MAC Address) থেকে লজিক্যাল অ্যড্রেস(IP Address) খুজে বের করে ।

ICMP(Internet Control Message Protocol): নেটওয়ার্কে ডেটা পাঠানোর সময় কোনো ত্রুটি হলে এই প্রোটোকলের মাধ্যমে প্ররকের কাছে রিপোর্ট পাঠান হয় ।

IGMP(Internet Group Message Protocol): এই প্রোটোকলের মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট ডেটা প্যাকেট একাধিক ঠিকনায় পাঠান হয় ।

ট্রান্সপোর্ট লেয়ার (Transport Layer)

ট্রান্সপোর্ট লেয়ার (Transport Layer): এই লেয়ার কে End-to-End layer বলে । এই লেয়ারের প্রধান কাজ হল বিভিন্ন হোস্টের মধ্যে যে অ্যপ্লিকেশন চলছে সেগুলির মধ্যে সংযোগ করা এবং ত্রুটিহীন ভাবে ডেটা প্যাকেটগুলি সারিবদ্ধ ভাবে গ্রাহক কম্পিউটার এর কাছে পৌঁছান । এই স্তরে ব্যবহৃত Protocol গুলি হল –

TCP – Transmission Control Protocol

UDP –  User Datagram Protocol .

SCTP – Stream Control Transmission Protocol.

TCP (Transmission Control Protocol) : এই প্রোটোকলের সাহায্যে অ্যপ্লিকেশন লেয়ার থেকে আসা ডেটাকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে যাকে Segment/Datagram/Data Packet বলে ।  এবং প্রত্যেক প্যাকেটে IP ডেটাগ্রাম যুক্তকরে যা পরবর্তী কম্পিউটারে ডেটা পাঠাতে সাহায্য করে ।  এটি সংযোগযুক্ত(Connection Oriented) এবং বিশ্বস্ত প্রোটোকল ।

UDP (User Datagram Protocol) : এটি ট্রান্সপোর্ট লেয়ারের সংযোগবিহীন প্রোটোকল ।  যার প্রধান কাজ হল- IP অ্যড্রেসে পোর্ট নম্বর যুক্ত করে  যা বিভিন্ন ব্যবহারকারীর অনুরোধ কে আলাদা করে ।  চেকসাম(Checksum) ব্যবহার করে ডেটা অক্ষত ভাবে গ্রাহকের কাছে পৌছানো ব্যবস্থা করা ।

SCTP(Stream Control Transmission Protocol): এই প্রোটোকলের মাধ্যমে দুটি নেটওয়ার্ক যুক্ত কম্পিউটারের মধ্যে একই সময়ে একাধিক তথ্য আদান প্রদান করতে পারে ।

অ্যাপ্লিকেশন লেয়ার (Application Layer) :

অ্যাপ্লিকেশন লেয়ার (Application Layer) :  এটি TCP/IP মডেলের সর্বউচ্চ লেয়ার । এই লেয়ারে ইন্টারনেট ব্যবস্থ ও নেটওয়ার্ক অ্যাপ্লিকেশন নির্ধারণ করা যাতে সবাই ব্যবহার করতে পারে । এই লেয়ারের প্রোটোকল গুলি হল –

FTP –  File Transfer Protocol

HTTP – Hypertext Transfer Protocol .

TELNET – Terminal Network

POP – Post Office Protocol

SMTP – Simple Mail Transfer Protocol

SNMP – Simple Network Management Protocol

IMAP – Internet Message Access Protocol .

FTP (File Transfer Protocol) : নেটওয়ার্ক সিস্টেমে দুটি কম্পিউটারের মধ্যে কোনো ডেটা ফাইল ডাউনলোড এবং আপলোডের জন্য এই প্রোটোকল ব্যবহৃত হয় ।

HTTP(Hypertext Transfer Protocol) : নেটওয়ার্ক সিস্টেমে একাধিক কম্পিউটারের মধ্যে www(World Wide Web) থেকে হাইপারটেক্সট পদ্ধতিতে তথ্য আদান প্রদান করার জন্য এই প্রোটোকল ব্যবহৃত হয় ।

TELNET(Terminal Network) : দুরবর্তী কম্পিউটারে লগ-ইন করার জন্য এই প্রোটোকলটি ব্যবহৃত হয় ।  তবে ব্যবহারকারীকে কম্পিউটারে লগ-ইন করার তার জন্য নির্দিষ্ট অনুমতি আগে থেকে নিতে হবে ।

POP(Post Office Protocol) : এই প্রোটোকলের মাধ্যমে ইমেল ক্লয়েন্ট ইমেল সার্ভার থেকে ইমেল পুনরুদ্ধার করতে পারে ।  বর্তমানে এই প্রোটোকলটির নাম POP3 ।  এই প্রোটোকলের সাহায্যে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ লোক তাদের ইমেল অ্যকসেস করে ।

SMTP(Simple Mail Transfer Protocol) : এই প্রোটোকল ইমেল গ্রহন এবং প্রেরণের জন্য ব্যবহৃত হয় ।  এটি POP3 এবং IMAP এর মিলিত রুপ ।  সাধারনত গ্রাহকের দিকে ইমেল গ্রহনের জন্য POP3 বা IMAP প্রোটোকল ব্যবহৃত হয় ।  বর্তমানে Extended SMTP প্রোটোকল ব্যবহার করে ইমেলে মাল্টিমিডিয়া ফাইল আদান প্রদান করা যায় ।

SNMP(Simple Network Management Protocol) : এই প্রোটোকলের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক ডিভাইস  এবং তাদের ফংশনগুলি পরিচালনা এবং তাদের নজরদারি করা যায় ।

IMAP(Internet Message Access Protocol) : এই প্রোটোকল POP3 এর ন্যয় কাজ করে ।  এর সাহায্যে ইমেল সার্ভার থেকে ইমেল ডাউনলোড করা যায় এবং সার্ভারে ইমেল রাখতে পারে ।  IMAP প্রোটোকল POP3 অপেক্ষা সার্ভারের বেশি জায়গা এবং CPU এর বেশি Resource ব্যবহার করে ।



Go to Lesson – 11 MCQ Test

Footer Section

Leave a Reply