
Database Management System
Lesson – 7
Hierarchical Network and Relational Data Model
Hierarchical Network and Relational Data Model কাকে বলে এর বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা ও অসুবিধা
হায়ারার্কিক্যাল ডেটা মডেল (Hierarchical Model) কাকে বলে এর বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা ও অসুবিধা
এই ডেটা মডেল ট্রি-স্ট্রাকচারের মতো । এই ধরনের গঠনে শাখা প্রশাখা যুক্ত টেবিল ব্যাবহৃত হয় । এই মডেলের সব থেকে উপরের টেবিল কে প্যারেন্ট টেবিল বলে এবং প্যারেন্ট টেবিলের নিচের টেবিলগুলিকে চাইল্ড টেবিল বলে । প্যারেন্ট এবং চাইল্ড টেবিল নিজেদের মধ্যে One-to-One বা One-to-Many রিলেশনে যুক্ত থাকে ।
IBM কোম্পানি সর্বপ্রথম এই ধরনের ডেটাবেস মডেলের ব্যাবহার শুরু করে । এই মডেলের গঠন নিম্নরুপ –

হায়ারার্কিক্যাল ডেটা মডেল (Hierarchical Model) এর বৈশিষ্ট্য
- এই ডেটা মডেল ট্রি-স্ট্রাকচারের মতো । এই ধরনের গঠনে শাখা প্রশাখা যুক্ত টেবিল ব্যাবহৃত হয় ।
- এই মডেলের সহ থেকে উপরের টেবিল কে প্যারেন্ট টেবিল বলে এবং প্যারেন্ট টেবিলের নিচের টেবিলগুলিকে চাইল্ড টেবিল বলে ।
- প্যারেন্ট এবং চাইল্ড টেবিল নিজেদের মধ্যে One-to-One বা One-to-Many রিলেশনে যুক্ত থাকে ।
- বড়ো প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই মডেল বেশি ব্যাবহৃত হয় ।
হায়ারার্কিক্যাল ডেটা মডেল (Hierarchical Model) এর সুবিধা –
- এই মডেলে নুতন কোনো তথ্য যুক্ত বা তথ্য খুজে বের করা বেশ সহজ ।
- এই মডেলে অধিক পরিমান তথ্য সংরক্ষন করা যায় ।
- ডেটা শেয়ারিং খুব ভাল হয় ।
হায়ারার্কিক্যাল ডেটা মডেল (Hierarchical Model) এর অসুবিধা –
- ডেটাবেস ডিজাইন কারা বেশ কঠিন ।
- চাইল্ড টেবিল থেকে ডেটা খুজতে সময় লাগে ।
- এই মডেলে Many-to-Many রিলেশন স্থাপন করা সম্ভব নয় ।
- Query প্রসেসিং ধীরগতিতে সম্পন্ন হয় ।
নেটওয়ার্ক ডেটা মডেল (Network Data Model) এর বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা ও অসুবিধা –
নেটওয়ার্ক ডেটা মডেল (Network Data Model) এর বৈশিষ্ট্য :-
- হায়ারারকিক্যাল মডেলের উন্নত রুপ হল নেটওয়ার্ক মডেল ।
- এই মডেলে প্যারেন্ট ও চাইল্ড সব টেবিলের সাথে সব টেবিলের লিঙ্ক থাকে ।
- তিনটি সাধারণ উপাদান হল ঃ- রেকর্ড টাইপ, ডেটা আইটেম এবং লিঙ্ক ।
- রেকর্ডগুলি দুই ভাগে বিভক্ত – ওনার রেকর্ড(Owner Record) এবং মেম্বর রেকর্ড (Member Record) । প্যারেন্ট টেবিলে ওনার রেকর্ড এবং চাইল্ড টেবিলে মেম্বর রেকর্ড থাকে ।
- এই মডেলে পারেন্ট ও চাইল্ড টেবিলের মধ্যে One-to-One অথবা Many-to-Many দুই ধরনের রিলেশন দেখা যায় ।
- এই মডেলটি 1971 সালে চার্লস ব্যাচম্যান প্রথম প্রবর্তন করেন । এটিকে CODASYL(Conference on Date System Language) নামেও পরিচিত ।

নেটওয়ার্ক ডেটা মডেল (Network Data Model) এর সুবিধা :-
- এই মডেল ডিজাইন করা সহজ ।
- এই মডেলে One-to-One অথবা Many-to-Many দুই ধরনের রিলেশন দেখা যায় ।
- ডেটা আইটেম সহজে অ্যাকসেস করা যায় ।
- ডেটার স্বধীনতা অনেক বেশি ।
নেটওয়ার্ক ডেটা মডেল (Network Data Model) এর অসুবিধা :-
- এই মডেল পরিচালনা করা বেশ কঠিন ।
- রক্ষনা বেক্ষনের জন্য দক্ষ ডেটাবেস ডিজাইনারের এবং প্রোগ্রামারের প্রয়োজন ।
- ডেটাবেসের গঠনগত পরিবর্তন বেশ কঠিন ।
রিলেশনাল ডেটা মডেল (Network Data Model) কাকে বলে :-
নির্দিষ্ট কোনো অ্যাট্রিবিউট বা ফিল্ডের ওপর ভিত্তিকরে ডেটাবেসের অন্য টেবিলে মধ্যে লজিক্যাল সম্পর্ক স্থাপনকেই রিলেশনাল ডেটা মডেল বলে । বর্তমানে এটি খুব জনপ্রিয় মডেল । 1960 সালে E.F. Codd এই মডেলে প্রস্তাবনা করেন । এই মডেল পরিচালনার জন্য RDBMS(Relational Database Management System) Software এর প্রয়োজন।

রিলেশনাল ডেটা মডেল (Network Data Model) এর বৈশিষ্ট্য :-
- এই মডেলের সমস্ত ডেটা টেবিলের রো এবং কলামে সজ্জিত থাকে ।
- টেবিলের প্রতি সেলে ডেটা থাকে ।
- এই মডেল কে রেকর্ডবেসড মডেল বলে কারন ডেটার সমস্ত অপরেশন রিলেশনের ওপর নির্ভর করে হয় ।
- এই মডেলের সাহায্যে খুব সহজে ডেটা অ্যাকসেস করা যায় ।
রিলেশনাল ডেটা মডেল (Network Data Model) এর সুবিধা :-
- এই মডেলে ডেটাবেসের গঠনগত পরির্বন করলেও ডেটা অ্যাকসেসের উপর কোনো প্রভাব পড়েনা ।
- রিলেশনাল অ্যাজেবরা ও রিলেশনাল ক্যালকুলাস ব্যবহার করে টেবিল থেকে রেকর্ড খুজে বের করা যায় ।
- ডেটাবেস ডিজাইন এবং রক্ষনাবেক্ষন সহজ ।
রিলেশনাল ডেটা মডেল (Network Data Model) এর সুবিধা :-
- এই ডেটাবেস পরিচালনার জন্য অপেক্ষাকৃত উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার প্রয়োজন ।
- অনেক সময় নিম্নমানের ডেটাবেস ডিজাইনের কারনে সিস্টেমের গতি মন্থর হয় ।
