DBMS and its components_MyNetEdu

DBMS and its components

Lesson – 5

DBMS and its Component গুলি আলোচনা কর ।

DBMS and its Component / ডেটাবেসের উপাদান কাকে বলে ?

ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কে কত গুলি মডিউলে ভাগ করা হয় । প্রত্যেকটি মডিউলের নির্দিষ্ট কিছু কাজ করে । আর এই প্রত্যেকটি মডিউল কে DBMS and its Component বলে ।

ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের এই উপাদান গুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথা-

স্টোরেজ ম্যানেজার(Storage Manager) এবং কোয়্যারি প্রসেসর(Query Processor) ।

স্টোরেজ ম্যানেজারের প্রধান উপাদান গুলি হল –

  • ট্রানজ্যাকশন ম্যানেজার(Transaction Manager)
  • ফাইল ম্যানেজার (File Manager)
  • বাফার ম্যানেজার (Buffer Manager)
  • অথোরাইজেশন ম্যানেজার(Authorization Manager)
  • ইন্টিগ্রিটি ম্যানেজার (Integrity Manager)

কোয়্যারি প্রসেসরের প্রধান উপাদান গুলি হল –

  • DDL(Data Definition Language)
  • DML(Data Manipulation Language)
  • DCL(Data Control Language)

ডেটা

ডেটাবেস তৈরি করার পর তারমধ্যে ডেটা সংরক্ষন, নবীকরন, ডিলিটি ইত্যাদি কাজ করা যায় । ডেটা হল ডেটাবেসের মুল উপাদান ।

ডেটা প্রধাণত তিন প্রকার –

  অ্যকচুয়াল / অপারেশনাল ডেটাঃ ডেটাবেস টেবিলের মধ্যে যে ডেটা থাকে তাকে অ্যকচুয়াল বা অপারেশনাল ডেটা বলে ।

  মেটাডেটাঃ ডেটা সম্পর্কিত ডেটা কে মেটাডেটা বলে ।

  অ্যাপ্লিকেশন ডেটাঃ অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে কোন ফাইল তৈরি করার জন্য যে মেটাডেটা তৈরি করা হয় তাকে অ্যাপ্লিকেশন ডেটা বলে ।

হার্ডওয়্যার(Hardware):

ডেটাবেস পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ধরনের হার্ডওয়্যার প্রয়োজন, সেগুলি হল – দ্রুতগতির প্রসেসর, বিপুল ক্ষমতার সেকেন্ডারি মেমরি, ও বিভিন্ন প্রকার ইনপুট ও আউটপুট যন্ত্র ।

সফটওয়্যার (Software):

উপযুক্ত সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডেটার প্রসেসিং করা হয় । উল্লেখযোগ্য ডেটাবে সফটওয়্যার হল-Microsoft, Oracle, MySQL, SQL Server  ইত্যাদি ।

ইউজার বা ব্যবহারকারীঃ

DBMS-এ ডেটাবেস তৈরি, বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রন, রক্ষনাবেক্ষন ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ব্যবহারকারী লক্ষ করা যায় সেগুলি হল-

  ডেটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রেটরঃ ডেটাবেসের সমগ্র কাজ কেন্দ্রীয় ভাবে যে ব্যবহারকারী নিয়ন্ত্রন করে তাকে ডেটাবেসে অ্যডমিনিস্ট্রেটর বলে ।

  ডেটাবেস ডিজাইনারঃ সমগ্র ডেটাবেস সিস্টেমের পরিকল্পনা যে ব্যবহারকারী করে তাকে ডেটাবেস ডিজাইনার বলে । এদের স্পেশাল ইউজার বলে ।

  অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামারঃ সাধারণ ব্যবহারকরীর জন্য ইন্টারফেস তৈরি করে অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামার ।

  এন্ড ইউজারঃ  প্রকৃত ডেটাবেস ব্যবহারকারী যে ডেটা সঞ্চয়,নবীকরণ, বিয়োজন ইত্যাদি কাজ করে ।

ডেটাবেস ল্যাঙ্গুয়েজ(Database Language):

যে কামান্ডের সাহায্যে ডেটাবেসের বিভিন্ন কাজ করা করা হয় সেই কমান্ডগুলিকে এক সাথে ডেটাবেস ল্যাঙ্গুয়েজ বলে । সধারণত তিন ধরনের ডেটাবেস ল্যাঙ্গুয়েজ হয় যথা- DDL(Data Definition Language), DML(Data Manipulation Language) এবং DCL(Data Control Language) ।

কোয়্যারি প্রসেসর(Query Processor):

কোয়্যারি প্রসেসর ব্যাবহারকারীর কোয়্যারি কে মেশিন ভাষায় রুপান্তরীত করে। ডেটা ডিকশনারি থেকে সমস্ত টেবিলের তথ্য কোয়্যারি প্রসেসর প্রসেস করে এবং কোনো পরিবর্তন হলে সেগুলি পুনরায় ডেটা ডিকশনারিতে রেকর্ড করে রাখে ।

রানটাইম ডেটাবেস ম্যানেজার (Runtime Database Manager) :

এটি ডেটাবেসের কেন্দ্রীয় অংশ যেখানে ডেটাবেসের Authorization Control, Command Processor, Integrity Checker ইত্যাদি উপাদন গুলি থাকে । একে ডেটাবেস কন্ট্রল ম্যানেজার ও বলা যায় ।

ডেটা ম্যানেজার (Data Manager) :

ডেটাবেসের ডেটা পরিচালনার মুল দায়িত্ব হল ডেটাবেস ম্যানেজারের ।এর মধ্যে Buffer Manager এবং Recovery Manager থাকে । Buffer Manager – প্রাইমারি মেমরি ও সেকেন্ডারি মেমরির মধ্যে ডেটা আদান প্রদান করে এবং প্রসেসরে ফেল হওয়া ডেটা উদ্ধার করে Recovery Manager ।

ডেটাবেস ইঞ্জিন(Database Engine):

ডেটাবেসের মুল কাজ হল – ডেটা সংরক্ষন, প্রক্রিয়াকরন, নিরাপত্তা, ট্রানজ্যাকসন প্রসেসিং ইত্যাদি এই কাজ গুলি ডেটাবেস ইঞ্জিনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় ।

ডেটা ডিকশনারি(Data Dictionary) :

ডেটাবেস সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ডেটা ডিকশনারিতে সঞ্চত থাকে ।

রিপোর্ট রাইটার(Report Writer) :

ডেটাবেসের বিভিন্ন ফাইল থেকে প্রয়োজনীয় ডেটা বা তথ্য নিয়ে পছন্দমতো রিপোর্ট তৈরি করা হয় ।

Leave a Reply